মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের মুলাদীতে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নে দুই বাড়িতে ডাকাতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনার পর দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দারা রাত জেগে এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। নিজেদের জান-মালের নিরাপত্তায় রাত ১২টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছেন তারা। থানা পুলিশ চুরি-ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় গ্রামবাসী বাধ্য হয়ে এই কাজ করছেন বলে জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। গত ৬ জানুয়ারি রাতে দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল করিম হাওলাদারের স্ত্রীকে বেঁধে মালামাল নিয়ে দুর্বৃত্তরা। ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাতে একই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজান মল্লিকের বাড়িতে ডুকে ৫/৬জন ডাকাত তার স্ত্রীকে বেঁধে স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুতুবপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হারুন অর রশিদের বাড়িসহ কমপক্ষে ৫ বাড়িতে চুরি হয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা পুলিশ। চুরি ও ডাকাতি থেকে বাঁচতে গ্রামের সাধারণ মানুষ দল বেঁধে রাতজেগে পাহারা দিচ্ছেন। গত ৯ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে রাত ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পাহারা দেন বলে জানান তারা।
তবে গ্রামবাসীর পাহারা মধ্যেও মুলাদী সদর ইউনিয়নের দুটি বিদ্যালয়ে চুরি হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে ৭৪নম্বর দক্ষিণ পূর্ব চরলক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস থেকে একটি ল্যাপটপ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়। একই রাতে চরলক্ষ্মীপুর বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও নগদ টাকা চুরি করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বেল্লাল সরদার জানান, সাধারণ মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় নিজেরাই রাত জেগে এলাকায় পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে গত ৯ জানুয়ারি থেকে এলাকায় চুরি-ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, উপজেলার প্রতি এলাকায় বিট পুলিশিং ও পুলিশ টহলের মাধ্যমে অপরাধ দমন করা হচ্ছে। গ্রামবাসী রাত জেগে পাহারা দিয়ে এলাকায় অপরাধ দমনে পুলিশকে সহায়তা করছে। এটা ভালো উদ্যোগ।
Posted ১:৩০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta