স্টাফ রিপোর্টার : বিদেশী মায়েদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে চীনের নারীরা। এরপরেই রয়েছে ফিলিপাইন ও ব্রাজিল। এই বৃদ্ধি মূলত বিদেশী বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রতিফলন। জাপানে ২০২৪ সালে ২২ হাজার ৮৭৮ শিশুর জন্ম হয়েছে, যাদের পিতামাতা বিদেশী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে জন্ম নেয়া মোট শিশুর ৩ দশমিক ২ শতাংশেরই পিতামাতা দুজনেই অভিবাসী বা মা অন্য দেশের নাগরিক। এ সংখ্যা গত এক দশকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। খবর দ্য গার্ডিয়ান। অন্যদিকে, ক্রমেই কমছে জাপানি দম্পতির ঘরে জন্ম নেয়া শিশুর সংখ্যা। গত বছরে এ সংখ্যা কমে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৩-এ নেমেছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪১ হাজার ১১৫ কম। ফলে বিদেশী শিশুরা জাপানি শিশুদের সংখ্যার পতন কিছুটা পূরণ করছে। বিদেশী মায়েদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে চীনের নারীরা। এরপরেই রয়েছে ফিলিপাইন ও ব্রাজিল। এই বৃদ্ধি মূলত বিদেশী বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রতিফলন। গত সপ্তাহে দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি জানিয়েছে, জাপানে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ লাখ ৯৫ হাজার। এদের বেশিরভাগই ২০-৩০ বছর বা দীর্ঘমেয়াদে জাপানে থাকতে আগ্রহী। জন্মহার কমে যাওয়ায় দেশটিতে দ্রুত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে শ্রমশক্তির ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসন ইস্যু জাপানের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জুলাইয়ে পার্লামেন্টো আপার হাউস নির্বাচনে ছোট পপুলিস্ট দল সানসেইতো বিদেশ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে ভালো ফলাফল পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিদেশী পরিবারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো কার্যকর নীতি ও সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যানসাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর তোশিহিরো মেনজু বলেন, ‘বিদেশী শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য নীতি ও সহায়তা অনেক এলাকায় পিছিয়ে আছে। অধিকাংশই এনজিওর উপর নির্ভর করছে। আমাদের এমন নীতি দরকার যাতে বিদেশী শিশুরা বড় হয়ে জাপানি ভাষায় দক্ষ হয়। জাপানি নাগরিকদের মতো আয় করে নিজেদের পরিবার গড়ে তুলতে পারে। অন্যথায় সমাজ বিভক্ত হয়ে যাবে।জনসংখ্যার বয়স্কীকরণ ও শ্রম ঘাটতির কারণে আগামী কয়েক দশকে বিদেশী বসবাসকারীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ন্যায়মন্ত্রী কেসুকে সুজুকি জানিয়েছেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ বিদেশী বসবাসকারীর হতে পারে। এ প্রবণতা জাপানের জনসংখ্যা কাঠামো ও সামাজিক সংহতিকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে বলেও অভিমত তার।
Posted ৫:৫৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta