লাইফস্টাইল ডেস্ক : তুলতুলে কোমল ও গোলাপি ঠোঁট পেতে কার না ইচ্ছে করে বলুন, এজন্য কসরতও কিন্তু কম করি না আমরা। ঠোঁট যুগলটিকে রাঙিয়ে বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু বেশিরভাগই বাজারচলতি প্রোডাক্টে থাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক। যা ঠোঁটের ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি করে। কয়েকটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমেই কোমল ও গোলাপি ঠোঁট পাওয়া উপায় জেনে নিই।
* লেবু অ্যাসিডিক গুণসম্পন্ন। এটা প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে। লেবু ব্যবহার করলে ঠোঁটের মৃত কোষ উঠে গিয়ে ভেতরের গোলাপি আভা বাইরে চলে আসবে। লেবু কেটে নিয়ে তাতে সামান্য চিনি ছিটিয়ে দিতে হবে। লেবুর এক পিস টুকরো আলতোভাবে ঠোঁট ঘষতে হবে। এভাবে দিনে একবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
* নারিকেল তেল এবং অলিভ অয়েল ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চমৎকার কাজ করে। তাই সপ্তাহে একবার এক চা-চামচ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলে সামান্য চিনি মিশিয়ে গুলিয়ে নিন। স্ক্রাব যেভাবে ব্যবহার করেন ঠিক সেভাবে ঠোঁটে ঘষুন।
* ঠোঁটে বেদানার রস ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। এক টেবিল চামচ বেদানা ব্লেন্ড করে নিন। পানি দেওয়া যাবে না। বেদানা পেস্ট ঠোঁটে মেখে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। বেদানার রস মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ঠোঁটের কালচেভাব দূর করবে।
* ত্বক কোমল রাখতে গোলাপজলের জুড়ি নেই। এক চা-চামচ মধুতে দুই তিন ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন। দিনে দুইবার ঠোঁটে ব্যবহার করতে হবে। সরাসরি গোলাপের পাপড়ি বেটেও ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন। তার সঙ্গে একটু মাখন মিশিয়ে নিলে ভালো। ঠোঁটের কালচেভাব কাটতে খুব একটা সময় লাগবে না।
* শসার রসে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটা দ্রুত পিগমেন্টেশন কমাতে পারে। শসা কেটে আগের মতোই ব্লেন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিন। ঠোঁটে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচেভাব দূর হবে।
Posted ১০:৫৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta