নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৪৫ হাজার ৮ হেক্টর জমিতে। বরিশাল কৃষি অঞ্চলে তিন জাতের বোরো ধানের আবাদ হয়। এর মধ্যে হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধান রোপণ করা হয়।
বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বরিশাল জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি। আর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ হেক্টর জমি। এর মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ৫৫ হেক্টর, উফশী ৪ হাজার ৬৫০ ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ১৪১ হেক্টর জমিতে।
পিরোজপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৭০ হেক্টর জমি। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ১৬৪ হেক্টর জমি। এর মধ্যে হাইব্রিড ১০ হাজার ১৮২ এবং উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৯৮২ হেক্টর জমিতে।
ঝালকাঠি জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ৩৪০ ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৪১৫ জমিতে। পটুয়াখালীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমি। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৪৫০ ও উফশী ১ হাজার ২৫০ হেক্টর।
এছাড়া বরগুনায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫২ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩৬৪ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ১৪২ ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে ২২২ হেক্টর জমিতে। ভোলায় ৬৩ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৪১৫ হেক্টরে। এর মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ১৫০, উফশী ৩ হাজার ১৮০ ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ৮৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। চাষীরা যেন সঠিকভাবে বোরো চাষ করতে পারেন সেজন্য জেলা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিচ্ছেন।’
বরিশাল কৃষি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষক জমি তৈরি করছেন। কেউ হাল বা মই দিচ্ছেন। আবার কেউ ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বরিশালের হিজলা উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের কৃষক মেহেদি হাসান কলিন্স মির বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে বোরো ধানে মাঠ ভরে যাবে। শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা এবং গেল সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। চাষাবাদে কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের কৃষক আবুল হাওলাদার বলেন, ‘জমি প্রস্তুত করে চারা উত্তোলন করছি রোপণের জন্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফসল পাব বলে আশা করছি।’
Posted ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta