আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়ায় একটি বহুতল ভবনে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। প্যারামেডিকরা সেই এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না। গত মাস থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সিভিল ডিফেন্স কর্মী, চিকিৎসা সেবক ও সাহায্যকারী সংস্থাগুলোকে গাজার উত্তরাংশে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে।
গাজায় ৪০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলা। নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞে গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) গাজা উপত্যকায় অন্তত ১১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, গাজায় চলমান গণহত্যার অভিযোগের ব্যাপারে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। খবর আল জাজিরা।
গাজার উত্তরের বেইত লাহিয়ায় একটি বহুতল ভবনে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন। প্যারামেডিকরা সেই এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না। গত মাস থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সিভিল ডিফেন্স কর্মী, চিকিৎসা সেবক ও সাহায্যকারী সংস্থাগুলোকে গাজার উত্তরাংশে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে।
আল-মাওয়াসি নামক তথাকথিত ‘সেইফ জোনে’ ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় অন্তত চার জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু ছিল। আল জাজিরা জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছিল এমন একটি তাঁবু ছিল এ হামলার লক্ষ্যবস্তু।
এর আগে, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মুখপাত্র মোহাম্মদ আফিফ বৈরুতের রাস আল নাবা’র বাণিজ্যিক জেলায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। এই হামলায় নিহত হয়েছেন আরো তিনজন, যাদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। এছাড়া সেখানে আহতের সংখ্যা অন্তত ১৪।
গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৩ হাজার ৮৪৬। আহত অন্তত ১ লাখ ৩ হাজার ৭৪০ জন। পশ্চিম তীরে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭৮৪। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Posted ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta