নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে সাথে নিয়ে মাদক সেবনের দৃশ্য দেখে বটি দিয়ে কুপিয়ে রাজিয়া সুলতানাকে (৪০) খুন করে তার দ্বিতীয় স্বামী আব্দুর রশিদ (৫৫)। র্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে আব্দুর রশিদ। (১৪ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতার আব্দুর রশিদ চাঁপাইনবাগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শ্রী কান্দার গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজিয়া সুলতানা নামের ওই নারীকে বিয়ে করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার চা বাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন দুপুরে রাজিয়া সুলতানা মারা যান। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি র্যাব-১২ ক্যাম্পের সদস্যরা র্যাব-১২ ও র্যাব-৪ এর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার সালনা বাজার এলাকা থেকে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর আব্দুর রশিদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার প্রথম স্ত্রী ১২ বছর পূর্বে সৌদি আরব চলে যায়। এরপর গত তিন বছর পূর্বে তিনি বিধবা রাজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করেন। রাজিয়ার আগের স্বামীর পক্ষের এক মেয়ে ও জামাই রয়েছে। আব্দুর রশিদ ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় বসবাস করতেন। ১৫/২০ দিন পরপর সান্তাহারে স্ত্রীর কাছে আসতেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রশিদ ঢাকা থেকে সান্তাহার আসেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আব্দুর রশিদ বাসায় ফিরে দেখেন তার স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই একসঙ্গে বসে মাদক সেবন করছে। দৃশ্য দেখে আব্দুর রশিদ ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দিয়ে স্ত্রী রাজিয়া সুলতানাকে কুপিয়ে পালিয়ে বগুড়া স্টেশনে আসেন। সেখানে রাত যাপন করে পরদিন গাজীপুরে পালিয়ে যান।
আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী বলেন গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে র্যাব থানায় হস্তান্তর করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
Posted ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta