স্টাফ রিপোর্টার:
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে এবং আর্থিক খাতে সুশাসন ও স্থিতিশীলতা জোরদার করতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ।
শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বোর্ড সভায় এ ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও স্থিতিশীলতা উন্নয়নে এ অর্থ ব্যবহার হবে।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন বাংলাদেশের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত জরুরি। সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উন্মুক্ত ও জবাবদিহিমূলক করতে নানা সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে সেগুলো জনগণের জন্য আগের চেয়েও ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের হার এখনো মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম, যার ফলে সরকার অনেক সময় প্রয়োজনীয় সেবা দিতে ব্যর্থ হয়।
বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মূলত সরকারি রাজস্ব সংগ্রহের সংস্কার, করনীতির স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং ই-প্রকিউরমেন্ট চালুর মাধ্যমে সরকারি সেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদন করেছে। এর ফলে ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেতে যাচ্ছে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বোর্ড সভায় আগামী সোমবার দুটি ঋণ কিস্তির ১৩০ কোটি ডলারের অনুমোদন পেতে পারে বাংলাদেশ।
Posted ১১:২১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta