নিজস্ব প্রতিনিধি: পরীক্ষা পদ্ধতি থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এডুকেশন ওয়াচের সহযোগিতায় গণসাক্ষরতা অভিযান এই সভার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় সব জায়গায় মূল্যায়নের বিষয়টি এক রকম নয়। অনেক জায়গায় দেখা যায়, শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম, তাদের ক্ষেত্রে হয়তো মূল্যায়ন করা যায়। ১২, ১৩, ৩০টি বাচ্চাকে মূল্যায়ন করা যায়। তবে যে স্কুলে ১৫০টি বাচ্চা সেখানে কিন্তু এটি করা যায় না। সেক্ষেত্রে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি।
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। এছাড়া আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে তাদের মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে সেটা হলো পুষ্টিমান ঠিক রেখে খাবার সরবরাহ করা। পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবার যেগুলো পচনশীল নয়, যেমন দুধ, ডিম, কলা, মৌসুমি ফল, এর সঙ্গে বিস্কুট ও রুটি। যে খাবারগুলো দুপুর পর্যন্ত নষ্ট না হয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে এখন কাজ চলছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা অনেক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। সামনেও নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সমস্যা হয়, শিক্ষকরা যোগ দিয়ে পরবর্তীতে তারা থাকতে চান না। এখানে বেতনের বিষয় রয়েছে। সামনে এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকার এরই মধ্যে অনেক কাজ করেছে, আরো কাজ করছে।
Posted ১:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta