স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরে দেশের ৩০তম গ্যাসফিল্ড আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। ডিএসটি চলছে বিকেলের মধ্যে জানা যাবে আপডেট তথ্য।
রোববার (১ জুন) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড ফাওজুল কবির খান বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, এখনই চূড়ান্তভাবে কিছু বলার সময় হয়নি। গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, ডিএসটি শেষে জানা যাবে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য কিনা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, শনিবার রাতে যে চাপ ও সিমটম পাওয়া গেছে তাতে আমরা আশাবাদী। আমাদের একটি টিম সরেজমিন গেছে সন্ধ্যায় আপডেট পাওয়া যাবে।
বাপেক্স সূত্র জানিয়েছে নতুন এই জোনটিতে ১৪৪০ মিটারে গ্যাসের ফ্লো পাওয়া গেছে।
এই আবিষ্কারের ফলে বাংলাদেশের উক্ত অঞ্চলে নতুন ভূগর্ভস্থ স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি জানান দিল। একটি নতুন এলাকা সৃষ্টি হল। ময়মনসিংহ তথা জামালপুর উক্ত অঞ্চলটি যোগ হল দেশের নতুন গ্যাস সেক্টরে। একই জোসে অবস্থিত দেশের উত্তরাঞ্চল। বাপেক্স তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বাপেক্স একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা দেশের তেল গ্যাস অনুসন্ধানের প্রাথমিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করে থাকে।
এর আগে দ্বীপ জেলা ভোলায় ইলিশা-১ নামে বাংলাদেশের ২৯তম গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই গ্যাসক্ষেত্রটিতে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রচুর গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ্টরা। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৯টি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তেল-গ্যাস সম্পদের সম্ভাবনা নিরূপণে কাজ করে। কিছু সংস্থা সারাদেশে এবং কিছু সংস্থা বিশেষ এলাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) ও পেট্রোবাংলা, হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও নরওয়েজিয়ান পেট্রোলিয়ম ডাইরেক্টরেট সমীক্ষা পরিচালনা করে। ইউএসজিএস-পেট্রোবাংলার প্রতিবেদনে সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪, গড় ৩২ দশমিক ১ ও সর্বোচ্চ ৬৫ দশমিক ৭ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিক ঘনফুট) গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করা হয়েছে। অপরদিকে হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও নরওয়েজিয়ান পেট্রোলিয়ম ডাইরেক্টরেট সর্বনিম্ন ১৯, গড় ৪২ ও সর্বোচ্চ ৬৪ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশে আবিষ্কৃত ২৯টি গ্যাস ফিল্ডে প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মিলে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস বিবেচনা করা হয় ২৮.৭৯ টিসিএফ (২পি)। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ২০.৩৩ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট মজুদ ধরা হয় মাত্র ৮.৪৬ টিসিএফ। এক সময় ২৮০০ এমএমসিএফডি গ্যাস উত্তোলন করা হলেও এখন ১৯০০ এমএমসিএফডির নিচে নেমে এসেছে। উৎপাদন কমে যাচ্ছে পুরাতন কূপগুলোতে আরও কমতে পারে।
Posted ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০১ জুন ২০২৫
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta