আজ, বৃহস্পতিবার


২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীতকালে ত্বকের যত্ন

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
শীতকালে ত্বকের যত্ন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

লাইফস্টাইল ডেস্ক :
হেমন্তর মাঝামাঝিতেই শীতের আগমন ঘটেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশাও। ফলে এখন থেকেই আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ার কারণে অনুভূত হচ্ছে শীত।

শীতের এই শুষ্ক হাওয়া ত্বক থেকে সব আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বকের ক্ষতি করে। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে অদৃশ্য ক্ষতিকর উপাদানগুলো ত্বকের সয়স্পর্শে আসে। তার উপর যদি শীতকালে ত্বক দূষিত হয় তাহলে অবস্থা আরও অবনতি হয়। তাই শীতে ত্বকের বিশেষ যত্ন বাড়িয়ে ত্বককে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে। সেজন্য যা করতে পারেন-

১. ক্লিনজিং: ত্বকের যত্ন নেওয়ার মূল ভিত্তি হলো ক্লিনজিং অর্থাৎ পরিষ্কার রাখা। শীতকালে বাতাসের জন্য ত্বকে অনেক দূষিত পদার্থ এবং মেকআপের অবশিষ্টাংশ জমে থাকতে পারে। বায়োলিপিড সম্পন্ন ক্লিন্জার ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করলে সহজে এসব দূর করা যায়। এতে ত্বকে আদ্র্রতাও বজায় থাকে এবং মুখ সতেজ দেখায়।

২. ক্রিম: কুয়াশা এবং ধূলাবালির কারণে ত্বক মলিন এবং বয়সের আগেই বয়সের ছাপ দেখাতে পারে। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরক্ষাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের লোপকূপে পাতলা একটি বাধা সৃষ্টি করে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতেও এই ক্রিমের ব্যবহার কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩. সিরাম: হাইপার পিগমেন্টেশন এবং ত্বক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া শীতকালে প্রকাশ পাওয়া দুইটি বড় সমস্যা। শীতল বাতাসের সঙ্গে অণুগুলো যখন ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা অক্সিডাইস করে কালচে ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বকের সর্বত্র স্কিনটোন একরকম থাকে না। এইজন্য ত্বকের জন্য ভালো দেখে একটি সিরাম বাছাই করতে হবে। সাধারণত ত্বক ফর্সাকারী সিরামে কোজিক এসিড থাকে, যা ত্বকে অস্বস্তি অনুভব করাতে পারে। সেজন্য অরিওপেপটাইড-৩ সম্পন্ন সিরাম ব্যবহার করতে হবে, যা ত্বকের ভাজ দূর করতে সাহায্য করবে।

৪.প্রাকৃতিক উপাদান: ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারের বিকল্প কিছু হতে পারেনা্। তরমুজ বা প্যাশন ফ্রুটের নির্যাস থেকে তৈরি তেল ত্বকে বেশ মজবুত প্রতিরক্ষা তৈরি করে। এসব ফলে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ‘ভিটামিন ই’ ত্বক হাইড্রেট করে মসৃণতা এনে দেয়।

৫. শরীর: সাধারণত ত্বকের যত্ন বলতে মুখের ত্বকেরই যত্ন নেওয়া হয়। শুধু মুখ নয়, সারা শরীরের চামড়াই শীতে প্রাধান্য পাবে। শীতে ত্বকের চামড়া কালো হয়ে যাওয়া রোধ করতে গোসলের সময় ভালো বডিওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে হাঁটু এবং কনুইতে বেশি কালশিটে পড়ে শীতকালে। এইসব এরিয়ায় বি-ওয়াক্স অর্থাৎ, মৌচাকের মোম, প্রাকৃতিক তেল, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। মোটকথা মুখের পাশাপাশি সারা শরীরের ত্বকেরই যত্ন নিতে হবে।

৬. ভেতর থেকে পুষ্টি: শীতকালে বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই উচিত। তবে যত্ন যতটা না বাইরের ততটা ভেতরের হওয়া উচিত। প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা মেটালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাসটাক্সানথিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ বিলবেরি নির্যাস খুবই উন্নতমানের প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রিজারভেটিভবিহীন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান ত্বকের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:০৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

সহকারী সম্পাদকঃ মোঃ শাহ পরান হাওলাদার

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com