নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে চাল, তেল, চিনি, খেজুরের শুল্ক ও ভ্যাট কমানো হয়েছে।(৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে এই চার পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশনা অনুযায়ী এই চার পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর এসব পণ্যের শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত চাল আমদানিকারকেরা এ সুবিধা পাবেন। তবে এ সুবিধা পেতে আমদানির প্রতিটি চালানের বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার লিখিত অনুমোদন লাগবে।
তেলের ক্ষেত্রে দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বা ভ্যাট পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দেশে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন ও ব্যবসা পর্যায়ে আপাতত ভ্যাট দিতে হবে না এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের। তবে এ সুবিধা তাঁরা পাবেন আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এ ছাড়া বিদেশ থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। তার মানে সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানো হয়েছে। আমদানিকারকেরা এ সুবিধা পাবেন ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ। রমজানকে সামনে রেখে সেটি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর আমদানিকারকেরা ১০ শতাংশ কম শুল্কে আমদানির এ সুবিধা পাবেন আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত। এ ছাড়া পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের চিনি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে প্রতি মেট্রিক টনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে যা ছিল দেড় হাজার টাকা। আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি আমদানি শুল্ক কমিয়ে করা হয়েছে দুই হাজার টাকা, আগে যা ছিল তিন হাজার টাকা। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে এ শুল্ক ছাড় পাওয়া যাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ককর কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ককরে ছাড় দিতে এনবিআরে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
Posted ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দৈনিক গণবার্তা | Gano Barta