আজ, শুক্রবার


২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

বাংলাদেশ থেকে ইইউর পোশাক আমদানি ২০ শতাংশ কমেছে

রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে ইইউর পোশাক আমদানি ২০ শতাংশ কমেছে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশের পোশাক রফতানি পণ্যের বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। দেশ থেকে যে পরিমাণ পোশাক রফতানি হয় তার ৫০ শতাংশই যায় ইইউ অঞ্চলে। সম্প্রতি বিশ্ববাজার থেকে পোশাক রফতানি কমিয়েছে অঞ্চলটি। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের বাজারেও। সদ্যসমাপ্ত ২০২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে ইইউর দেশগুলোয় বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। ইইউর পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইইউর দেশগুলো ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে সবচেয়ে বেশি পোশাক আমদানি কমিয়েছে চীন থেকে। এর পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এরপর তুরস্ক ও ভারতের অবস্থান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইইউতে পোশাকের চাহিদা কমেছে। যার কারণে গত এক বছরে আমদানি কমিয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলো। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ প্রধান পোশাক রফতানিকারক দেশগুলোর ওপর। তবে চলতি বছর পোশাক খাতের রফতানি নিয়ে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। বৈশ্বিক অর্থনীতি ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। জ্বালানির দাম ও পরিবহন খরচও কমছে। ফলে আগামী মাসগুলোয় বাংলাদেশ থেকে ইইউর পোশাক আমদানি ফের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইইউর দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে ২ হাজার ৩০ কোটি ২৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৬ ইউরোর। ২০২৩ সালের একই সময়ে তা কমে ১ হাজার ৬২৫ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ৬৫২ ইউরোতে নেমেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪০৪ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইইউ।

২০২২ সালে চীন থেকে ২ হাজার ৬৯১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬ ইউরোর পোশাক আমদানি করে ইইউ, যা গত বছরের একই সময়ে এসে দাঁড়ায় ২ হাজার ১১৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯১ হাজার ৬৫৪ ইউরোয়। অর্থাৎ চীন থেকে প্রায় ৫৭৬ কোটি ইউরো বা ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ আমদানি কমিয়েছে ইইউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘যেখানে যত বেশি মার্কেট শেয়ার থাকবে, সেখানকার মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে সে প্রভাব বড় শেয়ারধারীর ওপর তত বেশি পড়বে। ইইউর পোশাক আমদানির বড় দুই অংশীদার বাংলাদেশ ও চীন। সেজন্যই মূলত বাংলাদেশ ও চীন থেকে আমদানির হার এবং পরিমাণও অনেক কমেছে।’

সমাপ্ত বছরের ১১ মাসে বিশ্ববাজার থেকে ইইউর মোট পোশাক আমদানি কমেছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার ১৮৮ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করলেও ২০২৩ সালের একই সময়ে তা ৮ হাজার ২৭০ কোটি ইউরোয় নামে। অর্থাৎ আমদানি কমেছে ৯১৭ কোটি ৬৯ লাখ ইউরোর।

বিজিএমইএ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপের বাজারে ২০২৩ সালের শেষ দুই মাসেও নেতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। ২০২৪ সাল শুরু হলেও এখনো ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যায়, সেটি আমাদের দেখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাপ্লাই চেইন ও মূল্যস্ফীতিসহ আরো অনেক বিষয়। সেই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেও কিছু চাপ তৈরি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নমুখী। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৪ সালে অর্থনীতি সার্বিকভাবে চাপের মধ্যে থাকলেও আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের চাহিদা বাড়বে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:৪৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com