আজ, শনিবার


২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
শিরোনাম

আট পণ্য আমদানির এলসিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল

বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪
আট পণ্য আমদানির এলসিতে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিনিধি: আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে পেঁয়াজ, তেল, ছোলা, খেজুরসহ আট পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়। দেশের বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বলা হয়, ‘আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যের আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুরের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিতব্য নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ প্রদান করা হলো। অভ্যন্তরীণ বাজারে উল্লিখিত পণ্যগুলোর সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো। এ নির্দেশনা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’

এর আগে ধারে আট পণ্য আমদানির সুযোগ রেখে ১২ জানুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। পণ্যগুলো হলো ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছরই রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রশাসনের নজরদারি, অভিযানসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এবার সে সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে কয়েক মাস আগেই পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে সময়মতো আমদানির অভাবে পণ্যগুলোর বাজার যাতে অস্থিতিশীল হয়ে না ওঠে, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

ডলার সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় রোধে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বিলাসবহুল ও অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ এলসি (ঋণপত্র) মার্জিন আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে গিয়ে যাতে ডলারের জোগানে ঘাটতি দেখা না দেয়, সেজন্য এসব পণ্যের আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

এর পরও ডলারের সংকট কিংবা রিজার্ভের ক্ষয় ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ব্যাহত হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানিও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২১৭ কোটি ডলারের খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। যেখানে এর আগের অর্থবছরে এ খাতে আমদানি হয়েছিল ২৬১ কোটি ডলারের। এর মধ্যে চাল আমদানি ৫৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে। আর গম আমদানি ২০৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার থেকে কমে ১৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার হয়েছে।

গত অর্থবছরের আমদানির নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে চলতি অর্থবছরও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশের আমদানি কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে আমদানি হয়েছে ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার পরিমাণ ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ২২ শতাংশ কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয়েছে ২৬৪ কোটি ডলারের, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৬৪ কোটি ডলার।

একইভাবে এ সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি ২৭৬ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যেখানে এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৩৫৫ কোটি ডলারের।

 

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

দৈনিক গণবার্তা |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সম্পাদকঃ শাহিন হোসেন

বিপিএল ভবন (৩য় তলা ) ৮৯, আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা ।

মোবাইল : ০১৭১৫১১২৯৫৬ ।

ফোন: ০২-২২৪৪০০১৭৪ ।

ই-মেইল: ganobartabd@gmail.com