ঢাকাশুক্রবার , ৩ জুলাই ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আর্থিক সংকটে কুমারখালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা

দৈনিক গণবার্তা
জুলাই ৩, ২০২০ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মোশারফ হোসেন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) থেকে : কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাজার গুলোতে এখন আর তেমন ক্রেতা নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় ও ওষুধ দোকান গুলোতে কিছু টা বেঁচা কেনা থাকলেও। গার্মেন্টস, জুতা-  কসমেটিক,ডেকোরেটর, চায়ের দোকান, বেডসিট, লুঙ্গি, দোকান গুলোতে বেঁচা কেনার পরিমাণ অনেক কম। সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকার  দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে দেশে। একইসঙ্গে অতি জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। চলছে অঘোষিত লকডাউন। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন কুমারখালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের অবস্থা এখন মহা সংকটে । ভালে নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।  এমনটা জানান কুমারখালী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। থানা মোড়,এ,কে আজাদ বেডশীট ব্যবসায়ী জানান আমি পাইকারি বিক্রেতা করোনা কারনে আগের তুলনায় অর্ধেক বেঁচা কেনা হয়না ব্যবসা করে  সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন অবস্থা দোকান কর্মচারী মো. নাজমুল বলেন, ‘কোনোভাবে দোকান চালাচ্ছি। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। কোনো মতে আমাদের দোকানের খরচ উঠানোর চেষ্টা করছি। যদি দোকানের খরচটা আসে। আমার বেতন ২ মাসের বকেয়া। কাজও ছেড়ে দিতে পারছি না। খুব খারাপ সময় পার করছি।’ সুটন গার্মেন্টসের মালিক তরিকুল ইসলাম নেওয়াজ   বলেন, ৪ মাস ধরে খুব বাজে সময় পার করছি। ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। দোকানে ক্রেতা নাই বললেই চলে। পেটের দায়ে এই করোনার মধ্যে দোকান খুলছি। এই লকডাউনের মধ্যে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দোকান চালাচ্ছি। এরই মধ্যে যা বিক্রি হয়, এ দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।’  কসমেটিক ব্যবসায়ী  বিশ্ব বলেন, ‘আমার দুই টি দোকান। আমার ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। লকডাউনের আগে আমার বেচাবিক্রি হতো প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এই দোকানগুলো আমি নিয়মিত খুলতে পারছি না। অন্য সময় দোকান খোলা রাখতাম সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। এই ক্লান্তিলগ্নে দোকান খোলা রাখছি সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত। বাজার বনিক সমিতির সভাপতি কে এম টমে বলেন সত্যি কথা বলতে এ সময় ব্যবসা করে আমরা ভালো নেই।   সামনে কুরবানীর ঈদ আসছে, দোকান কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে হবে। কি ভাবে যে  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখবে এটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। দোকান কর্মচারীরা চরম খাদ্য-অর্থ সঙ্কটে আছে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান করোনা মহামারী তে দোকান কর্মচারীদের জন্য বিশেষ কোনো বরাদ্দ নেই। কুষ্টিয়া জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন এসব বিষয়ে কথা হয়েছে মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে। মালিকরা জানান, এই অবস্থায় তারাও ভালো নেই। তাই কর্মচারীদের দুর্দিনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না বণিক সমিতি গুলো।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।