বরিশাল ব্যুরো : সদ্য সমাপ্ত বরিশাল ৫ সদর আসনের এলাকাগুলোতে অনুষ্ঠিত দুর্গাপূজায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক বিষয়ে পাশে থেকে প্রশংসায় ভাসছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। তার ইতিবাচক কর্মকান্ডে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী মহলেই নয়, রাজনৈতিক ও সচেতন মহলেরও নজর কেড়েছেন তিনি। অন্য সব নেতাদের তুলনায় ব্যতিক্রমীভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসবে সার্বিক সহায়তার পাশাপাশি কেন্দ্র নির্দেশিত নানামুখী নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে পালনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় ভুমিকাকে জনপ্রিয়তা-নিরপেক্ষ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় এ নেতা।

জানা গেছে, পূজা শুরুর দিন থেকেই তিনি প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনের মন্ডপগুলোসহ সদর উপজেলার প্রত্যেকটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন রহমাতুল্লাহ। পূজা শুরুর পুর্বে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জেলা, মহানগর ও সদর উপজেলার পূজামন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে মতবিনিময় করে পূজা উদযাপনে সার্বিক সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। সে অনুযায়ী পূজার প্রথম দিন থেকেই মহানগর ও সদর উপজেলার প্রত্যেকটি মন্দিরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও আর্থিক অনুদান নিয়ে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সব মন্দিরে বিকেল থেকে শুরু করে রাত আড়াইটা পর্যন্ত ছুটে বেড়িয়েছেন।

এদিকে প্রতিবারই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা ও তাদের সার্বিক বিষয়ে পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নানাবিধ ইতিবাচক নির্দেশনা প্রদান করে থাকেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী দেশজুড়ে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে বড় উৎসবকে ঘিরে সর্বাত্নক সহায়তায় পাশে থেকে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন ঘিরেও পূজাকে ইস্যু করে অপকৌশল কারীদের অপ-তৎপরতা রুখতে সজাগদৃষ্টিরও আহবান জানান তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা রহমাতুল্লাহ পূজার সপ্তাহজুড়ে পুরো সময়টাই বরিশালে অবস্থান করে সনাতন নাগরিকদের দ্বারে দ্বারে ছুটে গিয়েছেন। এছাড়া সাধ্য অনুযায়ী প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছেন তিনি। যার দরুন, অন্য সব নেতাদের তুলনায় বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম হিসেবে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করে মুগ্ধ হয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বরিশাল সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ জানান- আমরা শতভাগ আবু নাসের রহমাতুল্লাহ ভাইয়ের কার্যক্রমে সন্তস্ট। কারণ তিনি সদর উপজেলার সব ক’টি পুজামন্ডপ পরিদর্শন করে আমাদের পাশে থেকেছেন। এছাড়া সবসময় সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি। যা অন্যদের থেকে আলাদা ও ব্যতিক্রমী। আমরা কৃতজ্ঞ।

এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা জানান- রহমাতুল্লাহ ভাইয়ের তুলনা হয়না। তিনি একটু ব্যতিক্রমী। অন্য সবের তুলনায় তিনি প্রত্যেক মন্দিরে নিজে ফুল নিয়ে পৌছে গিয়ে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সতিকারার্থে তুলনাহীন।

বরিশাল জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কুডু মুখার্জি জানিয়েছেন, রহমাতুল্লাহ ভাই দুর্ঘাপূজার মধ্যে আমাদের মন্ডপগুলো নিজে এসে পরিদর্শন করে নানাবিধ উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়েছেন। এতে আমরা উচ্ছ্বসিত হয়েছি। এছাড়া সাধ্যমত আমাদের পাশে থেকে সহায়তাও করেছেন তিনি।

বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ জানান- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবে বিএনপি নেতাকর্মীদের সহযোগীতার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সে অনুযায়ী যথাযথভাবে পালনে আমি কাজ করে যাচ্ছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী যারা বিনষ্ট করতে চায় তারা উৎসব ঘিরে পিছন থেকে ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেই উৎসবের পরিবেশে যাতে কেউ বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেজন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থেকে সহায়তার নির্দেশ দেন তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপি যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই সব ধর্মের অনুসারীরা নিরাপদে থাকে। তাদের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত করে। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তারা এই উৎসবের বিঘ্ন ঘটাতে অপ-তৎপরতা চালাতে পারে। এজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মুলত যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু।