গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মেয়র ও কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন প্রচার–প্রচারণা। নগরবাসীর সমর্থন ও দোয়া চেয়ে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার-ব্যানার লাগিয়েছেন তাঁরা।
গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের এক সভা শেষে কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম গাজীপুরসহ পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ২৫ মে।
কাগজে–কলমে দেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশন গাজীপুর। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা চালাচ্ছেন প্রচারণা। বিশেষ করে সরকারদলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। নির্বাচনে ইতিমধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় মাঠে বা প্রচার–প্রচারণায় নেই বিএনপি।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ও সমর্থকদের তৈরি ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ডে নগর ছেয়ে গেছে। প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমানসহ পাঁচ ছয়জন।
ক্ষমতাসীন দলের বাইরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পার্টি থেকে প্রচারণা শুরু করেছেন গাজীপুর মহানগর সভাপতি ও সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন। তবে বিএনপি ও তাদের শরিক দল নির্বাচনী মাঠে না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে আওয়ামী লীগকেই মনে করা হচ্ছে। সরকারদলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা কেউ কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।