তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম ক্রেমলিনের প্রতিনিধিদলের তালিকায় নেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছেন, তিনি কেবল তখনই আলোচনায় অংশ নেবেন যদি পুতিন স্বয়ং উপস্থিত থাকেন। বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন- রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিট্রিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতির সহকারী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। অপরদিকে, জেলেনস্কি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গে আঙ্কারায় বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে আলোচনায় অংশ নিতে রাজি আছেন। তবে পুতিনকেও তাতে অংশ নিতে হবে। তিনি পুতিনের সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনায় বসবেন।
বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া থেকে কে আসবে তা দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি এবং তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেব যে, ইউক্রেন কোন ধরনের পদক্ষেপ নেবে। এখনও পর্যন্ত গণমাধ্যমে তাদের কাছ থেকে যে সংকেত আসছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এই আলোচনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবেন না, যদিও তিনি আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে পুতিন উপস্থিত থাকলে তিনিও যেতে পারেন। বর্তমানে তিনি কাতারে অবস্থান করছেন।
এদিকে, মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও ইতোমধ্যে তুরস্কে পৌঁছেছেন এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রুবিওর ইস্তাম্বুলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর থেকে পুতিন ও জেলেনস্কির মুখোমুখি বৈঠক হয়নি। সর্বশেষ ২০২২ সালের মার্চে ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনা হয়েছিল। যুদ্ধের ক্রমাগত তীব্রতায় এই বৈঠকের মাধ্যমে নতুন করে শান্তির চেষ্টা চলছে, তবে পুতিনের না থাকা সেই প্রচেষ্টাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।