হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তালবিয়াতে স্বর উঁচু করার জন্য হজরত জিবরাইল (আ.) আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এটি হজের বিশেষ শ্লোগান।’ -ইবনে খুযাইমাহ: ২৬৩০
ইবনে আবি হাতেম হজরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘যখন হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামকে হজ ফরজ হওয়ার কথা ঘোষণা করার আদেশ দেওয়া হয়, তখন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করলেন, এখানে তো জনমানবহীন প্রান্তর; ঘোষণা শোনার মত কেউ নেই- যেখানে জনবসতি আছে। সেখানে আমার আওয়াজ কিভাবে পৌছবে? জবাবে আল্লাহতায়ালা বললেন, আপনার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা করা। বিশ্বে পৌছানোর দায়িত্ব আমার। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলে আল্লাহতায়ালা তা উচ্চ করে দেন।
কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, তিনি আবু কুবাইস পাহাড়ে আরোহণ করে দুই কানে আঙ্গুলি রেখে ডানে-বামে এবং পূর্বপশ্চিমে মুখ করে বললেন- লোক সকল! তোমাদের পালনকর্তা গৃহ নির্মাণ করেছেন এবং তোমাদের ওপর এই গৃহের হজ ফরজ করেছেন। তোমরা সবাই পালনকর্তার আদেশ পালন করো।
এই বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে যে, হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের এই আওয়াজ আল্লাহতায়ালা বিশ্বের কোণে কোণে পৌছে দেন এবং শুধু তখনকার জীবিত মানুষ পর্যন্তই নয়; বরং ভবিষ্যতে কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আগমনকারী ছিল, তাদের প্রত্যেকের কান পর্যন্ত এ আওয়াজ পৌছে দেওয়া হয়।
যার যার ভাগ্যে আল্লাহতায়ালা হজ লিখে দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই এই আওয়াজের জবাবে (لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ) এ বলেছে। অর্থাৎ হাজির হওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
হজরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ইবরাহিমি আওয়াজের জবাবই হচ্ছে হজে ‘লাব্বাইকা’ বলার আসল ভিত্তি। -তাবারি: ১৪/১৪৪