মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি: মুলাদীতে যাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়েছে অটোরিকশা চালকরা। এতে ৪ জন যাত্রী ও একজন অটোরিকশা চালক আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের তেরচর বেইলিব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অটোরিকশাকে মারধরের প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন আহত যাত্রীরা। অটোরিকশা চালক সোহাগ ও রাকিব হোসেন এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে করেছেন আহত অটোরিকশা চালক রুহুল আমিন।
জানা গেছে, মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মতিউর রহমান খানের দুই ছেলে রাকিব ও সোহাগ অটোরিকশা চালায়। এদের মধ্যে রাকিবের বিরুদ্ধে নারী যাত্রীদের সাথে অশালীন ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। আরেক অটোরিকশা চালক রুহুল আমিন বিষয়টি নিয়ে রাকিবের ভাই সোহাগকে জানায় এবং নারীদের সাথে ভালো আচরণ করার অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিব ও সোহাগ রোববার দুপুরে হামলা চালায়।
আহত অটোরিকশা চালক রুহুল আমিন জানান, রাকিব বেশিরভাগ সময় নারী যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এতে অটোরিকশা চালকদের বদনাম হয়। তাই রাকিবকে ভালো হওয়ায় জন্য তার ভাই সোহাগের কাছে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছিলাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
রুহুল আমিন আরও জানান, সোমবার দুপুরে যাত্রী নিয়ে নন্দীরবাজার এলাকায় যাচ্ছিলাম। অটোরিকশাটি তেরচর বেইলিব্রিজ এলাকায় পৌছলে রাকিব ও সোহাগ অটোরিকশার গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা বাধা দিলে তারা তাদেরকেও এলোপাথারি মারধর শুরু করে। এসময় যাত্রী চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত হাচেন আলী বেপারীর ছেলে আব্দুল রহিম (৭৫), জলিল বেপারীর ছেলে মিন্টু বেপারী, আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে শুক্কুর মোল্লা (৭৪), অটোরিকশা চালক রুহুল আমিনসহ ৫জন আহত হয়।
আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে শুক্কুর মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. সাইদী হাসান বাধন বলেন, আহতদের ৪জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একজন বৃদ্ধের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, অটোরিকশা চালক ও যাত্রীদের মারধরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
