কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক ইউপি সদস্যসহ ( মেম্বর) তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার চাপড়া ও শিলাইদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আজ রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন - উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের ( ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ার হোসেন লালন (৫০), শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের কর্মী আব্দুল ওহাব (৪৫),  চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত কিরামত উদ্দিনের ছেলে এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী মো. আলাউদ্দিন (৬০)।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র - জনতার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ আগষ্ট আসাদুজ্জামান আলী খান নামে এক ছাত্র বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার ৩ নম্বর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জনকে আসামি করা হয়।

এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরো ১০ থেকে ১৫ জন। মামলা নম্বর ১০। উক্ত মামলায় তদন্তের প্রাপ্ত আসামি হিসেবে গত শনিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে স্বজনদের অভিযোগ, বিশেষ অভিযানের নামে নিরাপদ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

দুপুরে সরেজমিন থানা চত্বরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃতদের স্বজনরা থানা চত্বরে ভিড় করেছেন। তাদের চোখে - মুখে হতাশার ছাপ। এসময় গ্রেফতারকৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে ও খুলনা বিশ্ববিদ্যাবিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রিজভী আক্ষেপ করে বলেন, ' একটা পরিবর্তনের আশায় প্রতিদিনই আন্দোলনে গিয়েছিলাম। আমি আন্দোলন করলাম, আর আজ আমার বাবাই গ্রেফতার হল। তাহলে কিসের আন্দোলন করলাম '?

স্বজনদের অভিযোগ অস্বীকার করে কুমারখালী থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র - জনতার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ আগষ্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। উক্ত মামলায় তদন্তের তিনজনকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।