নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে আরও ৫২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তারা দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এ নিয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ২৬৮ জনকে দেশে ফেরত আনা হলো বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় লেবানন থেকে ফেরত এসেছেন ৫৪ জন, ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬ জন, ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে ৩০ জন এবং ২৯ অক্টোবর রাতে ৩৬ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যাবাসন করা এই বাংলাদেশি নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। এ ব্যাপারে সাহায্য করছে বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস। এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে তারা। সমর্থনের প্রমাণস্বরূপ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে নিয়মিত রকেট হামলাও করছে হিজবুল্লাহ। এভাবে এক বছর ধরে লেবাননের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল। লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।