গণবার্তা রিপোর্টার:ব্যাংকারদের পক্ষে হাইকোর্টের রুল, চাকরিতে পুনর্বহালে ফের আবেদন।
মহামারি করোনার সময় ছাঁটাই হওয়া ব্যাংকারদের পক্ষে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাই চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ফের বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছেন চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংক কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চাকরি ফিরে পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকাররা।
এর আগে ২০২০ সালে মহামারি করোনার সময় খরচ কমানোর অজুহাতে কর্মী ছাঁটাই করে বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাংক। আবার অনেককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মীদের ছাঁটাই বন্ধ ও করোনাকালে চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ব্যাংক কর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ নির্দেশনা মানেনি ব্যাংকগুলো। তাই উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিচ্যুতরা। বিষয়টি আমলে নিয়ে সম্প্রতি ব্যাংকারদের পক্ষে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করতে বলা হয়। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি ফিরে পেতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকাররা।
এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাকরিহারা ব্যাংকাররা জানান, করোনা মহামারির ব্যাপকতা এবং লকডাউনের মতো বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের সময়ে কর্মী ছাঁটাই বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও আমরা বহু সংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা এখন অসহায়। কারণ তাদের কোনো কারণ ছাড়াই বেশ কিছু ব্যাংক হঠাৎ চাকরি থেকে বলপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য এবং ছাঁটাই করে। আমরা করোনাকালে আকস্মিক ও অন্যায়ভাবে চাকরি হারিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ি এবং সম্মানহানির শিকার হই।
চাকরিচ্যুতরা জানান, আমাদের অভিযোগ ও পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্নভাবে তদন্তের পর বাংলাদেশ ব্যাংক সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া পদত্যাগে বাধ্য ও ছাঁটাই করা কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়। তারপর ২ বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করেনি ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নিজ ব্যাংকের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য আবেদনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর আবেদনসহ একাধিক মানববন্ধন পালন করি। তাতেও প্রতিকার না পেয়ে গত বছরের শেষ দিকে আমরা হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করি।