প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২, ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
বিলুপ্তির পথে হাতে তৈরি সেমাই
আফজালুর রহমান উজ্জ্বল, কিশোরগঞ্জ : ঈদ আসলেই গ্রামর মেয়েরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন চাল- গমের আটার সেমাই তৈরিতে। হাতে তৈরি এ সেমাইয়ের কদর ছিল বেশ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। এমন সেমাই ছাড়া ঈদের উৎসব যেন ফিকে। কিন্তু এখন এমন চিত্র দেখা মেলাভার। এখন বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর সেমাইয়ের কারণে হাত তৈরি চালের সেমাই হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরে পুমদী ইউনিয়নের জগদল , আতিরা, আজও সেই পুরানো দিনের হাতে তৈরি সেমাইয়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। দেখা গেছে, গৃহিণী রাবেয়া ও জরিনা, এবং শিশু সানমুন ও রুবেলে হাতে সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তৈরি সেমাই রোদে শুকানো হচ্ছে। একেকজন ১ থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত চাল , ময়দা দিয়ে হাত মেশিনের সেমাই তৈরি করছেন। স্থানীয় আল-আমিন ভূঁইয়া রিপন সরকার,জমির উদ্দিন সহ অনেকেই জানান, বাজার থেকে যত দামি সেমাই বা লাচ্ছা কিনে আনা হোক না কেন হাতে চাল, ময়দা দিয়ে তৈরির সেমাইয়ের মতো স্বাদ হবে না। এবার ময়দা দিয়ে তৈরি সেমাই তিনি নিজে খাবারের জন্য রেখে একমাত্র মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। হাসিনা বেগম বলেন, আমি প্রতি রমজানের ঈদে হাতে সেমাই তৈরিতে এলাকাবাসীকে সাহায্য করি। এবারও আমি আমার ছেলে, নাতি, নাতনি ও নাতি বউদের সেমাই তৈরিতে সহযোগিতা করছি। হাত মেশিনের সেমাই তৈরিতে আমি আনন্দ পাই।নয় বছর বয়সী ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া সানমুন বলেন, এই সেমাই খেতে ভালো লাগে। পেটের কোনো সমস্যা হয় না। তাই রমজান মাসের প্রথম থেকে হাত মেশিনের সেমাই তৈরিতে মেশিনের হাতল ঘুরানোর কাজে দাদিকে সহযোগিতা করি। যেহেতু এখন স্কুল বন্ধ ৷
Copyright © 2024 দৈনিক গণবার্তা. All rights reserved.