মুলাদী প্রতিনিধি ॥
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামের গলায় জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর ঘটনায় দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বরিশাল জেলা পুলিশের একটি টিম মুলাদী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী ও তার সহযোগী ছত্তার সিকদারকে গ্রেফতার করে।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, মেহেন্দিগঞ্জের স্টিমারঘাট এলাকার সিকদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম ও দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম হিজলা-মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নেমেছে। চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী ও ছত্তার সিকদার মেহেন্দিগঞ্জ থেকে পালিয়ে মুলাদীতে আত্মগোপন করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হকে নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মুলাদী পৌর সদরের চরডিক্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানাগেছে দড়িচর খাজুরিয়া মাদরাসার ২০১৯ সালের উপবৃত্তি পাওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মোবাইল হিসাব নাম্বার পাঠানোর সময় মাদরাসার অফিস সহকারী শহীদুল ইসলাম তার মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে দেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১৮০০ টাকা ওই মোবাইলে জমা হলে গত ৩০ মে ছাত্রীর বাবা শহীদুল ইসলামকে মারধর করে মোবাইল সিমটি নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী তার ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক বসিয়ে শহীদুল ইসলামকে গালিগালাজ করে। এর পর তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে স্টিমারঘাট এলাকায় ঘোরায় এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় গত ৩ জুন রাতে লাঞ্ছনার শিকার শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী, ছত্তার সিকদার, কবির সিকদারসহ ১০জনকে আসামী করে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।