নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় পিঠা উৎসবের একটি স্টলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ছবি: সালাহউদ্দিন পলাশ
বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব। বিকাল ৫টায় এ আয়োজনের উদ্বোধন হয় শিল্পকলা একাডেমি, সেগুনবাগিচায়। উৎসব চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম উপাদান পিঠা। এটি শুধু একটি খাদ্যই নয়, অনেকের জন্য স্মৃতির ভাণ্ডারও। পিঠা পুলি বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরিচয় বহন করে। উৎসব-পার্বণে পিঠা একটি অনিবার্য উপাদান হিসেবে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। বিচিত্র সব পিঠা তৈরি হতো গ্রাম বাংলায় এবং এখনো হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়া ও নাগরিক ব্যস্ততায় পিঠার সে পুরনো দিন যেন আর নেই। তাই অঞ্চলভিত্তিক বিশেষায়িত ও লুপ্তপ্রায় পিঠা শিল্পকে তুলে আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমণ্ডিত পিঠাপুলি, রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে’ এ প্রতিপাদ্যে দেশের ৬৪ জেলায় জাতীয় পিঠা উৎসব-২০২৪ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং সম্মানিত অতিথি মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। ঢাকায় এ উৎসবের উদ্বোধন হলেও কেবল সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকছে না উৎসব। একযোগে ৬৪ জেলায়ই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে একাডেমি। জেলা পর্যায়ের উৎসবের আজই শেষ দিন।
এবার পিঠা উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৫০টির বেশি স্টল। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সনদ প্রদান করা হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে যে উৎসব হবে, তাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় অঞ্চলভিত্তিক পিঠাশিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন।
গতকাল সেগুনবাগিচায় গিয়ে দেখা যায় গতকাল দর্শনার্থী ও ক্রেতারা এসেছিলেন পিঠা উৎসবে। তারা স্টলে ঘুরে দেখছেন এবং আবহমান বাংলার নানা পিঠার স্বাদ লাভ করছেন।