

মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের মুলাদীতে অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। উপজেলার সফিপুর ইউনিযনের বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে নাহিদ খানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। কয়েক দিন আগে একই ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের মো. বাচ্চু মুন্সী বিষয়টি নিয়ে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের একাধিক দল তদন্ত করছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার মুলাদী সার্কেল কার্যালয়ে নাহিদ খান ও বাচ্চু মুন্সীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের সোনামদ্দিন বন্দর, মুন্সীর হাট, সফিপুর রাস্তার মাথাসহ বেশ কয়েটি স্পটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অ্যান্ডুয়েড মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা চলে। বেয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর খানের পুত্র নাহিদ খানের নেতৃত্বে একটি চক্র এই খেলা নিয়ন্ত্রণ করছেন। মোবাই ফোন দিয়ে অনায়েসে অনলাইন জুয়া খেলা সম্ভব হওয়ায় ওই এলাকার যুবকেরা খেলার প্রতি আসক্ত হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন।
সফিপুর গ্রামের বাচ্চু মুন্সী বলেন, নাহিদ খান এলাকায় কিশোর-যুবকদের বিট কয়েন ও অনলাইনে জুয়া খেলায় উদ্ভুদ্ধ করেন। উঠতি বয়সী যুবকদের অল্প দিনে বেশি টাকা লাভের আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার আশ্বাসে এলাকার অনেক যুবক নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবং সোনামদ্দিন বন্দরের অনেক ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। একসময়ে নাহিদ খান একটি ভাঙা ঘরে থাকতেন। জুয়া খেলার মাধ্যমে সে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছে। বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে জায়গা কিনে সেখানে বিলাসবহুল বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। মাঝে মধ্যেই ঢাকা থেকে ব্রিফকেস নিয়ে রহস্যময় লোকজন আসেন তার কাছে। এলাকার যুবকদের রক্ষার জন্য অবৈধ বিট কয়েন ও অনলাইন জুয়া বন্ধের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। নাহিদ খানের বিলাসবহুল ভবন নির্মানে আয়ের উৎস সম্পর্কে তদন্ত করলেই অবৈধ অনলাইন জুয়ার বিষয়টি বেড়িয়ে আসবে।
এব্যাপারে মুলাদী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এসএম বায়েজিদ ইবনে আকবর বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাচ্চু খান ও নাহিদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।