নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে সপ্তাহ ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত উত্তরের জনপদ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে এ জেলায় মৃদু, মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ অঞ্চলে।
সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি নিশ্চিত করে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ । তিনি বলেন, 'গত সপ্তাহ থেকে মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সূর্য। কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। দিনের তাপমাত্রাও নিম্নমুখী।'
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চারপাশ ঘন কুয়াশায় আবৃত ভোর থেকেই। হিম বাতাসে ঝরছে শিশির। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা।
শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গতকালের চেয়ে আজ সামান্যতম তাপমাত্রা বাড়লেও তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সোমবার ভোর ৬ টায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকাল ৯ টায় ৫ ডিগ্রি ও ভোর ৬ টায় রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে মৃদু, মাঝারি ও দুইদিন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে এ জেলায়। এদিকে নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও সকালেই দেখা মিলছে সূর্যের মুখ। হিমশীতলের বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।