গণবার্তা রিপোর্ট: বন্যা পূর্বাভাস ও সকর্তীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে দেশের ১১টি নদীর ১৫টি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাংশের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও সিলেট ও সুনামগঞ্জের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হতে পারে
বন্যা পূর্বাভাস ও সকর্তীকরণ কেন্দ্র জানায় যে ১৫ পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে সেগুলো হলো ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট, ঘাগট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্ট, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্ট, যমুনা নদীর ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্ট, ধলেশ্বরীর এলাসিন, পদ্মার গোয়ালন্দ, সুরমার কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্ট এবং পুরাতন সুরমার দিরাই এলাকা।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, এখন যে পরিস্থিতি আছে তা আগামী ৪-৫ দিন প্রায় একই রকম থাকবে। এরপর আবার বৃষ্টি শুরু হলে পানি বাড়তে পারে। এতে দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাংশের যেসব এলাকা এখন প্লাবিত, সেখানে পানির উচ্চতা বাড়বে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরমধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি ভালো হবে। তবে আগামী সপ্তাহে ওই এলাকাগুলো আবার প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মার পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আবার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।