আব্দুল্লাহ আল লোমান,জামালপুর থেকে : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি হুহু করে বাড়ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল সমূহের বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে।পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান জানান, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে শনিবার সন্ধা ৬ টায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং বন্যার পানি দ্রুত বাড়ছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানি হুহু করে বাড়ছে। বন্যায় যমুনা তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বহু নিম্নাঞ্চল ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শনিবার সন্ধার মধ্যেই জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাধীন যমুনার চরাঞ্চল সমূহের অসংখ্য নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
ইসলামপুরের সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জানান, যমুনার চরে জেগে উঠা সাপধরী ইউনিয়নের নতুন চরাঞ্চল সমূহে আষাঢ় মাসেই অতিরিক্ত বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে সাপধরীর প্রজাপতি, চরশিশুয়া, চরনন্দনের পাড়া, আমতলি, কাশারীডোবা, কটাপুর, ইন্দুল্যামারী, আকন্দ পাড়া, কোদাল ধোয়া, মন্ডল পাড়া, বিশরশি ও চেঙ্গানিয়া চরাঞ্চল সমুহের অসংখ্য নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু কৃষকের পাট ও আউশ ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব চরাঞ্চলের অন্ততঃ ৫ হাজার বাড়ীঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট শুরু দিয়েছে।
ইসলামপুরের বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, এবছরের আগাম বন্যায় যমুনার বুকে জেগে উঠা খোলাবাড়ী, জিগাতলা, বরুল, মন্নিয়া ও বেলগাছা চরাঞ্চল সমূহের বহু কৃষকের পাট ও ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।