নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে গতকাল ‘ লেনিন’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিরা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী
রুশ বিপ্লবের মহানায়ক ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন মৃত্যুবরণ করেন ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি। আজ তার প্রয়াণের শত বছর পূর্ণ হলো। দার্শনিক, প্রখর রাজনীতি বোধসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক কিংবা দুনিয়ায় বিপ্লবী সর্বহারা শ্রেণীর নেতা হিসেবে লেনিনকে নিয়ে লেখাজোকা কম নেই। তবে জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাসের জন্ম হলো আশানুর রহমানের হাতে। গতকাল বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচিত হলো তার উপন্যাস ‘লেনিন’।
কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটির মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক ও সাংবাদিক নূরুল কবীর, কথাসাহিত্যিক মশিউল আলম, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন, কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম এবং কবি ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফ।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘লেনিনের মৃত্যুর শতবর্ষ পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল (আজ)। লেনিনকে নিয়ে বাংলাদেশী বিভিন্ন বামপন্থী দল কর্মসূচি দিয়েছে। লেনিনের রাজনীতি, সে সময়কার বিপ্লব ও বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থা, সবগুলো বিষয়েই আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণ হবে। এ উপন্যাসের প্রকাশটা এতগুলো ঘটনার মধ্যে নতুন একটা মাত্রা যোগ করল।’
বইসংক্রান্ত আলোচনায় কথাসাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন জানান, লেনিনকে নিয়ে আমাদের যে চিন্তার জায়গা, তা থেকে সরে গিয়ে আশানুর ব্যক্তি লেনিনের দিকে গেছেন। উচিত-অনুচিত বলব না। লেখক তাই লিখেছেন, যেটা তিনি বলতে চান। বইয়ের প্রচ্ছদেই তার দাগ রয়েছে।’
এদিকে কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম বলেন, ‘লেনিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এত বড় একটি আখ্যান, এটি শুধু রাজনৈতিক কিংবা ওই সময়কে তুলে ধরার চেষ্টা নয়। আমার মনে হয়েছে এটা সম্পূর্ণ লেনিনকে মানুষ হিসেবে সবকিছু নিয়েই কল্পনার ছবি আঁকতে চেয়েছেন।’
‘লেনিন’ উপন্যাসটি বিস্তৃত হয়েছে রুশ নেতার জন্ম থেকে শুরু করে ১৯১৭ সাল তথা অক্টোবর বিপ্লবের আগ পর্যন্ত। এ প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ‘আমি বিপ্লবের পরে ঘটনা আর এগিয়ে নিইনি। কারণ তার পরের এত ঘটনা, এত চরিত্র ও এত জটিল ইস্যু, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা স্বল্প পরিসরে সম্ভব নয়।’
১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করা আশানুর রহমান পেশাগত জীবনে ব্যাংকিংয়ে নিয়োজিত থাকলেও শিল্প ও সাহিত্যের অঙ্গনেও সরব। তিনি মননশীল পত্রিকা ‘মননরেখা’-এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য। লেনিন তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস।