মোশারফ হোসেন, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) থেকে : মহামরি করোনার প্রাদুর্ভাবে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চায়ের দোকানগুলোতে প্লাস্টিকের কাপের ব্যবহার অনেক বেড়েছে গেছে। শহর বা গ্রাম কেন্দ্রিক চা-কফি এখন বেশিরভাগ সময়ই ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের কাপে দেওয়া হচ্চে। তবে এমন কাপে চা পান করা কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন বলেন গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকে রয়েছে বিসফেনল-এ নামের টক্সিন। গরম খাবার কিংবা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ঐ রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। নিয়মিত এটি শরীরে প্রবেশ করলে নারীদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্নতা দেখা দেয়। পুরুষের ক্ষেত্রে কমে যায় শুক্রাণুর পরিমাণ। শুধু তাই নয়, একই কারণে হতে পারে হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকজনিত নানা সমস্যা।
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা: আকুল উদ্দিন জানান প্লাস্টিকের কাপে চা পান করা একদমই উচিত নয়। কেবল চায়ের কাপ নয়, প্লাস্টিকের তৈরি পানির বোতল, জুসের গ্লাস, শিশুদের দুধের ফিডার প্রভৃতি মানবদেহের ক্ষতিকর।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্লাষ্টিক কাপের কারণে শহর ও গ্ৰামের রাস্তা দুই পাশ ও চায়ের দোকানে শুরু প্লাষ্টিক কাপে ভরপুর। যা পরিবেশন জন্য হুমকি ।
সচেতন মহলের ধারণা অচিরেই এই প্লাষ্টিক কাপের ব্যবহার রোধ করা না হলে। চরম ঝুঁকিতে পড়বে দেশ। তাই তারা সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনের লক্ষে প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস কিংবা খাবারের প্যাকেট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।