

মোস্তাফিজার রহমান, দিনাজপুর:
দিনাজপুরে ৪ নং শেখ পুরা ইউনিয়নের কৃষকের সার কালো বাজারিদের কাছে বিক্রি ও পাচারের প্রতিবাদে এবং জড়িত ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও বিচারের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ১৬ নভেম্বর সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় কৃষকরা বলেন দিনাজপুরে মস্তান বাজার সার গোডাউন থেকে সার নিয়ে অন্য উপজেলায় যাওয়ার পথে ১৭৫ বস্তা সার ট্রাক্টরের ড্রাইভার হেলপার সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। কৃষি অফিসার জানিয়েছে একটি মামলা হয়েছে। কৃষকদের দাবি সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দিনাজপুরে সার সংকট দেখিয়ে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করে আসতেছে সার সিন্ডিকেট ডিলার ও ব্যবসায়ীরা।সময় মতো কৃষি জমিতে সার দিতে চড়া দামে সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের,এতে সার সিন্ডিকেটের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েন কৃষক,এরকম যেনো আর না হয়,তার জন্য কৃষি অফিসারদের নজরদারির জোরদার বাড়াতে হবে,এ মানববন্ধনে দাবি করেন কৃষকরা। এ সময় কৃষকরা আরো বলেন ঠিক সময় মত ডিলারের কাছ থেকে সার পাওয়া না,কিন্তু খুচরা সার দোকানির কাছ থেকে চড়া দামে সার পাওয়া যায়।দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নং শেখ পুরা ইউনিয়নের মস্তান বাজার সার গোডাউন থেকে সার ট্রাক্টরের করে নিয়ে যাওয়ার সময় মহারাজার মোড়ে ১৭৫ বস্তা সার ড্রাইভার হেলপার সহ ৪ জনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।এ সময় ট্রাক্টরের ড্রাইভার বলেন মস্তান বাজারের এক গোডাউন থেকে সন্ধ্যার সময় ডেপ ও পটাশ ১৭৫ বস্তা সার লট করে বীরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যাওয়া উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে মহারাজার মোড়ে স্থানীয় জনতা আটক করে,এ সময় সারের কোন ডকুমেন্ট বা মেমো দেখাতে না পারায় তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে সরকারি ১শ বস্তা ডি ও পি, ও ৭৫ বস্তা টিওপি সার সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় কৃষি অফিসার বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানা একটি মামলা অজু করেন। এ বিষয়ে দিনাজপুর সদর উপজেলার ৪ নং শেখ পুরা ইউনিয়নের মস্তান বাজার আমেনা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী বিএডিসি সার ডিলার আবিদুল ইসলাম বলেন আমার সার নয় আমার নাম বললেই কি আমার হয়ে যায়,আমার নাম বলতেই পারে আমিও আপনার নাম বলতে পারি,এভাবেই তিনি বক্তব্য দিয়ে এড়িয়ে যান। তবে শাক দিয়ে মাছ থাকার চেষ্টা,এড়িয়ে যেতে চেষ্টা চালাচ্ছে ডিলার। তবে কৃষকদের দেয়া সরকারি সার কালো বাজারে বিক্রি করলে,এবং ধরা পড়লে,অপরাধীদের শাস্তি পেতেই হবে এর সর্বস্তরের কৃষকের দাবি। এ ঘটনায় সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তুষার বলেন দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় বিধি মোতাবেক সার ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা অজু করা হয়েছে,তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কৃষকরা মানববন্ধনে বলেন,কৃষকের সার ডিলাররা,অন্য স্থানে যেন পাছার করতে না পারে,এদিকে কৃষি অফিসারদের নজর রাখতে হবে। এবং যে সার পাচার হয়েছে,সেই সার ডিলার এর লাইসেন্স বাতিল ও সার পাছারের দায়ে আইন গত ব্যবস্থা নিতে হবে।এ সময় সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের কৃষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টার বরাবরে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়,৪নং শেখপুরার মাস্তান বাজার এলাকার বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী আবেদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই বরাদ্ধ সার কৃষকদের কাছে বিক্রি না করে বেশী লাভের আশায় কালো বাজারে বিক্রি করে আসছে। খোলা বাজারে অতিরিক্ত দামে সার কিনে চাষাবাদ করায় ফসল উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কৃষকদের বিষয়গুলো যেনো গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। এ মানববন্ধনে দাবি করেন কৃষকরা।