

নিজস্ব প্রতিবেদন: জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আপনি যদি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? সব বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে, তাদের বুকের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া ২০২৬ সালে কোনো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গণভোটের ব্যাপারে সব দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন? একমত যখন একমত হয়েই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেছি, তখন গণভোট আগে হওয়াই হচ্ছে যুক্তিযুক্ত। এর মধ্য দিয়ে আইনি ভিত্তির পাটাতন তৈরি হবে। এর ভিত্তিতেই আগামী সংসদের নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই জাতীয় নির্বাচন হোক। এ নিয়ে কেউ ধুম্রজাল সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাবেন না। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাবেন না। আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে সব দল মতামত দিয়েছি। আট দলের পক্ষ থেকে ডজনখানেক নোট অফ ডিসেন্ট আমরা দেইনি। প্রস্তাবনা যৌক্তিক মনে করে আলাপ আলোচনায় আমরা ইতিবাচক মত দিয়েছি। এরপর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ যা বলবে বাকিরা তা মেনে নেবে। কিন্তু আমরা দেখলাম কেউ কেউ তা মেনে নিতে রাজি নন। জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আপনি যদি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখান জাতীয় নির্বাচনে আপনি শ্রদ্ধা দেখাবেন কীভাবে? সব বায়না ভুলে যান। জুলাই শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখান। জুলাইয়ে যারা লড়াই করেছে যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছে, তাদের বুকের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। শফিকুর রহমান বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই—জনতার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। জনতা কী চায় কান পেতে শোনার চেষ্টা করুন। যদি এই ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হন তাহলে নিজের পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন। আমাদের সহযোদ্ধারা আমাদের হাতে মুক্তির প্রাথমিক পরিবেশটা উপহার দিয়েছে, আমরা জনগণের চূড়ান্ত মুক্তি আদায় করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।