স্টাফ রিপোর্টার : পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এজএএসি। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা।টানা চতুর্থ দিনের মতো সম্পূর্ণ অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে জম্মু কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি (জেকেজেএএসি)। ৩৮ দফা দাবিতে ২৯ সেপ্টেম্বর অঞ্চলটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। খবর আল জাজিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে এজএএসি। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গত কয়েক দিনে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ৯জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অঞ্চলজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, যানবাহন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আজাদ কাশ্মীরে জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের দাবিতে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের আয়োজন করেছে জেকেজেএএসি। যার মধ্যে কিছু বিক্ষোভ সহিংসও হয়ে উঠেছে। এবার আজাদ কাশ্মীর সরকারের সামনে ৩৮ দফা দাবি পেশ করেছে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি। যার মধ্যে রয়েছে শাসকগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় ভারতের দিক থেকে আসা কাশ্মীরি অভিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি আসন বাতিল করা ও আজাদ কাশ্মীরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রয়্যালটি প্রদান।পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী আবদুল মজিদ খান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে অধিকাংশ দাবি মানা হয়েছে। তবে শরণার্থী আসন বাতিল ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা কমানোর দাবিতে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় মুজাফফরাবাদে একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচক দল পাঠিয়েছে ফেডারেল সরকার। বৃহস্পতিবারের বৈঠক সমাধান ছাড়াই শেষ হলেও শুক্রবার আবার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চল স্বাধীনতার পর থেকেই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস করেন, যারা একটি আংশিক স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থার অধীনে নিজেদের সরকার ও আইনসভা পরিচালনা করে।