জামালপুর প্রতিনিধি : হাজরাবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম ও অফিস সহকারী উবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়,জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামানের দ্বিতীয় স্ত্রী,হাজরাবাড়ি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম ও একই উপজেলার আদ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ কেরানীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
বিগত ১১ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ পরিচালক বরাবর এই অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, হাজরাবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা বেগম ও অফিস সহকারী উবায়দুল্লার মাধ্যমে রশিদ বিহীন ভাবে প্রশংসাপত্র,সার্টিফিকেট,মিলাদের চাদা,প্রমোশন,সিলেবাস বিক্রি,মূল্যায়ন পত্র বিক্রি ইত্যাদি বাবদ বছরের প্রায় ছয় লক্ষ টাকা আদায় করেন যা সঠিকভাবে ক্যাশ বহিতে জমা না করে দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে নেন।এ ছাড়াও বিভিন্ন ভাউচার করে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ছাড়াও অভিযোগে আরও বলা হয়,প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের বৈধতা নিয়েও ধোয়াসা আছে এবং কি প্রধান শিক্ষক টাকার বিনিময়ে ২/১ শিক্ষক কে দীর্ঘদিন ছুটি প্রদান করেন ও জাল সনদ দিয়েও শিক্ষকতা করে আসছেন কয়েকজন শিক্ষক যা অভিযোগে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রোকশানা বেগম বলেন,আমি বিদ্যালয়ের কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি এবং প্রশংসাপত্র, সার্টিফিকেট, মিলাদের চাদা, প্রমোশন, সিলেবাস বিক্রির টাকা। বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে খরচ করা হতো।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপ পরিচালক ইতিমধ্যে জেলা শিক্ষা অফিসার জামালপুর কে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আজাদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।