স্টাফ রিপোর্টার : উপাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক কিভাবে দর্শনের মার্ক গণনা করেন?’ এটি বিশ্বাস করা কঠিন। কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরাও এটি জানেন। সারাদেশের কলেজগুলোতে ল্যাব নেই। কিছু থাকলেও তা কার্যকর নয়। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের শিক্ষার্থীরা ল্যাব ছাড়াই পাশ করছে। ল্যাবের ১০০ মার্ক অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরাই দিয়ে দিচ্ছেন। এমন জবাবদিহিতার অভাব থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা সম্ভব, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন রাখেন।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার নামে আমরা দেশকে উপহাসের মুখে ফেলছি।’ রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।উপাচার্য প্রশ্ন তোলেন, পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক কিভাবে দর্শনের মার্ক গণনা করেন? এটি বিশ্বাস করা কঠিন। কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরাও এটি জানেন। সারা দেশের কলেজগুলোতে ল্যাব নেই। কিছু থাকলেও তা কার্যকর নয়। পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের শিক্ষার্থীরা ল্যাব ছাড়াই পাশ করছে। ল্যাবের ১০০ মার্ক অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরাই দিয়ে দিচ্ছেন। এমন জবাবদিহিতার অভাব থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসা সম্ভব, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন রাখেন।তিনি আরো বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর বদলে আমি পরীক্ষার্থী দেখি। এটি একটি পরীক্ষার মেলা। দেশের ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান একক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। এটি ভালো মডেল কিনা, তা নিয়ে ১৯৯৪ সালের পর কেউ কথা বলেনি। আমাদের সিলেবাস চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত নয়। বরং তা প্রথম শিল্প বিপ্লবের তুলনায়ও দুর্বল। পরীক্ষার সিস্টেমের সঙ্গে শিল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমানে একটি কলেজে চারজন শিক্ষক পাওয়াও কঠিন। এখন চার হাজার শিক্ষক কোথা থেকে আনব? গত দুই দশকে এই ব্যবস্থা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব।উপাচার্য আরেকটি বড় সমস্যা হিসেবে গভর্নিং বডিকে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, দশ হাজার কোটি টাকার মালিক কিংবা ৯০ বছর বয়সের ব্যক্তিও পারিবারিক মর্যাদা রক্ষার জন্য গভর্নিং সদস্য পদ দাবি করেন। শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান উন্নয়নে জবাবদিহিতা ও নৈতিক শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন অধ্যাপক ড. আমানুল্লাহ।