গণবার্তা রিপোর্টার : ইউরোপে তৈরি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে উদ্বেগে পড়েছেন বিলাসবহুল নৌযান শিল্পে মার্কিন ক্রেতা ও ইউরোপীয় নির্মাতারা।ইউরোপে তৈরি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে উদ্বেগে পড়েছেন বিলাসবহুল নৌযান শিল্পে মার্কিন ক্রেতা ও ইউরোপীয় নির্মাতারা। শুল্ক কার্যকর হলে ব্যবসায়িক ক্ষতি ও ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কায় এখনই ক্ষতি নিরূপণে তৎপর হয়ে উঠেছেন তারা। খবর সিএনবিসি।প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের অধিকাংশ বিলাসবহুল নৌযান ও প্রমোদতরী তৈরি হয় ইউরোপে। এসব বিলাস যানের সবচেয়ে বেশি ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এমন পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্কের পর নৌযান খাতের বিশ্লেষকরা সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইউরোপীয় বোটিং ইন্ডাস্ট্রি সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে জানায়, ইউরোপের বিলাসবহুল নৌযান শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ফলে প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ শুল্ক ইউরোপীয় ব্যবসাগুলোর জন্য গুরুতর জটিলতা তৈরি করছে। তবে ১-১০ কোটি ডলার মূল্যের ইয়ট কিনতে সক্ষম, এমন বেশির ভাগ মার্কিনই অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে সক্ষম। তবু বিক্রেতাদের ধারণা, শুল্ক কার্যকর হলে অনেক ক্রেতার হিসাবনিকাশ বদলে যাবে এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়বেন।
জাহাজ বিক্রেতা নর্থরোপ অ্যান্ড জনসনের চেয়ারম্যান কেভিন মেরিগান বলেন, ‘ধনী মানুষদের অর্থ থাকলেও তারা চিন্তাভাবনা করেই খরচ করে। তারা অযথা টাকা নষ্ট করবে না। কোনো পণ্যে ১৫ শতাংশ বেশি খরচ করতে হলে তারা সেটা গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন। ফলে কেনাকাটার সিদ্ধান্তেও প্রভাব পড়বে।’
সাধারণত নৌযান কেনার চুক্তিতে শুল্ক পরিশোধের দায়িত্ব থাকে নির্মাতার ওপর। তবে আইনজীবীরা বলছেন, প্রস্তাবিত নতুন ১৫ শতাংশ শুল্ক হয়তো আগের শুল্ক কাঠামোর আওতায় পড়বে না। ফলে ক্রেতাদেরই হয়তো এর বড় একটি অংশ দিতে হতে পারে।
এদিকে ব্রোকাররা জানান, ধনীরা নতুন কোনো করের সম্মুখীন হলে সাধারণত তা এড়িয়ে যাওয়ার পথ খোঁজে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত পন্থা হলো নৌকাটি অন্য কোনো দেশ থেকে নিবন্ধন করানো। যাকে বলা হয় ‘ফরেন ফ্ল্যাগিং’।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি রয়েছে এমন কয়েকটি দেশেই ইয়ট নিবন্ধন করানো যায়। যেমন কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাল্টা ও জামাইকা।