গণবার্তা রিপোর্টার : গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যসংকট মোকাবিলায় আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণ যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মানবিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা। স্থলপথে আরো বেশি ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। তাদের দাবি, রোববার সকালে আকাশে তাদের বিমান থেকে সাতটি ত্রাণ প্যাকেট ফেলা হয়েছে, যাতে ছিল আটা, চিনি ও টিনজাত খাদ্য। পাশাপাশি দেশটি ত্রাণসহায়তার জন্য মানবিক করিডর খোলার উদ্যোগ নিয়েছে। ফিলিস্তিনি এ ভূখণ্ডে খাদ্যসংকট ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল এ কথা জানাল। বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা আকাশ থেকে এক দফা ত্রাণসামগ্রী ফেলার কাজ সম্পন্ন করেছে। এর আগে ইসরায়েল বলেছে, জাতিসংঘের ত্রাণবাহী গাড়িবহরগুলো যাতে গাজায় খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিতে পারে, সে জন্য মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এতে মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা উপত্যকায় ইচ্ছাকৃত দুর্ভিক্ষ ঘটানোর মিথ্যা দাবি খণ্ডন হবে।তবে মানবিক সহায়তা সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজার ২০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যসংকট মোকাবিলায় আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণ যথেষ্ট নয়। স্থলপথে আরো বেশি ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তারা। গত ২ মার্চ গাজার ওপর পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। মে মাসের শেষ দিকে দেশটি আবার স্বল্প পরিমাণে ত্রাণ সরবরাহ চালু করার অনুমতি দেয়। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) জানিয়েছে, তারাও গাজায় আবার আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করবে। তাদের এ কার্যক্রমে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্যও। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহে জর্ডানসহ অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।