স্টাফ রিপোর্টার : ১৪৪ ধারা চলাকালে যেকোনো ধরনের সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। কারফিউ না থাকায় অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহরের জনজীবন। গোপালগঞ্জে কারফিউ শেষে রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফের ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। তবে এর আওতামুক্ত থাকবে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, সরকারি অফিস ও জরুরি পরিষেবা। গোপালগঞ্জ জেলায় গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮টা থেকে রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ ছিল। একই সঙ্গে রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়েছে, সমগ্র গোপালগঞ্জ জেলায় ১৯ জুলাই রাত ৮টা থেকে ২০ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। এরপর ২০ জুলাই সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পাবলিক পরীক্ষাসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে, গত ১৭ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হবে। দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনরায় কারফিউ কার্যকর থাকবে। ১৪৪ ধারা চলাকালে যেকোনো ধরনের সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। কারফিউ না থাকায় অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শহরের জনজীবন।এর আগে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হলেও মানুষের চলাচল ছিল কম। পরে রাত ৮টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত আবারও কারফিউ বলবৎ ছিল। এরপর জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। গত বুধবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। নিহত হন পাঁচজন, আহত হন অর্ধশতাধিক।