স্টাফ রিপোর্টার: আমীর খসরু বলেন, ক্ষুদ্র অর্থনীতিতে আমরা একটি জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। গেল ১৪-১৫ বছরের লুটপাটে দেশের অর্থনীতি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। এখন যে জায়গায় আছি সেখানে শুধু প্রফেশনাল ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান করলে হবে না। বৈশ্বিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা করতে হলে সে লক্ষ্য থাকতে হবে। বিএনপি সরকারের শাসনামলে পুঁজিবাজার ও ব্যাংকে কোনো স্ক্যাম হয়নি বলে দাবি করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের সময়ে শেয়ার বাজার, ব্যাংক খাত ৯০ ভাগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ছিল। যার কারণে ব্যাংক, পুঁজিবাজার সুস্থ ছিল। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন অর্থনীতি রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ক্যাপিটাল মার্কেট পুনর্গঠন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু বলেন, ক্ষুদ্র অর্থনীতিতে আমরা একটি জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। গেল ১৪-১৫ বছরের লুটপাটে দেশের অর্থনীতি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। এখন যে জায়গায় আছি সেখানে শুধু প্রফেশনাল ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান করলে হবে না। বৈশ্বিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা করতে হলে সে লক্ষ্য থাকতে হবে। এখনো আমাদের উদ্যোক্তারা আছে, প্রাইভেট খাত আছে, হয়তো টাকা-পয়সা বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারি।
পুঁজিবাজাকে পুর্নগঠন করতে হলে সামষ্টিক পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক এ বাণিজ্য মন্ত্রী। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার হচ্ছে সরকারের বিনিয়োগের প্রধান সোর্সিং খাত। কিন্তু আমাদের যে পুঁজিবাজারের ধারণা, সেটা ভুল। সেখানে পুর্নগঠন বা পুনর্জীবন করতে হলে সবকিছুতে বড় পরিবর্তন আনতে হবে। সামষ্টিকভাবে পরিবর্তন না আনতে পারলে ভবিষ্যতে ভাল কিছু আশা করা যাবে না। ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শেয়ার বাজারের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সামগ্রিক সমন্বয় প্রয়োজন। মুক্তবাজার অর্থনীতির সর্বোচ্চ জায়গা হচ্ছে পুঁজিবাজার। অথচ গেল এক বছরে সেখানে কোনো আইপিও আসেনি। আমাদের লক্ষ্য আগামী এক বছরে শীর্ষ ১০টি কোম্পানি থেকে আইপিও নিয়ে আসা। আমরা মনে করি পুঁজিবাজারকে মার্কেটের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।
কর্মশালায় ছিলেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাইফুল ইসলাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মিনহাজ মান্নান ইমন ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) সভাপতি গোলাম সামদানী ভূইয়া।