স্টাফ রিপোর্টার : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দাম। এরই মধ্যে শেষ ১৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৫০ শতাংশের ওপরে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে শেষ পাঁচ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও কোম্পানিটির আর্থিক ভিত্তি খুব বেশি শক্তিশালী না। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। এতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে রহিম টেক্সটাইল।এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীর কাছে এই কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহের শীর্ষে চলে আসে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বেড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে কোম্পানিটির শেয়ার। এমনকি তিন কার্যদিবস কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমাও স্পর্শ করে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩২৪টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮২ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এমন ঊর্ধ্বমুখী বাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪২ টাকা ১০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ১১২ টাকা ১০ পয়সা। শুধু গত সপ্তাহ নয়, গত ১৫ জুনের পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত ১৫ জুন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১০০ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বেড়ে এখন ১৫৪ টাকা ২০ পয়সা উঠেছে। অর্থাৎ ১৫ কার্যদিবসে বা এক মাসের কম সময়ের মেধ্য কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগের ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। স্বল্প মূলধনের এই কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা মাত্র ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭০ দশমিক ৯৪ শতাংশ আছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। রহিম টেক্সটাইলের পরে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় ছিল রিজেন্ট টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে রহিম ফুড।এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা সার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের ১৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ১৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং জেমিনি সি ফুড ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ দাম বেড়েছে।