স্টাফ রিপোর্টার : রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন প্রেস সার্ভিস। এর আগে তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। পুতিন ম্যাক্রোঁকে বলেছেন, ইউক্রেন সংকট মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর নীতির সরাসরি ফলাফল, যারা বহু বছর ধরে রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো উপেক্ষা করেছে এবং ইউক্রেনকে একটি বিরোধী ঘাঁটিতে রূপান্তর করেছে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো শান্তি চুক্তি হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি ও ইউক্রেন সংকটের মূল কারণগুলোকে সমাধান করে এবং বর্তমান ভূখণ্ডগত বাস্তবতাকে স্বীকার করে নিতে হবে। দুই নেতা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে মত দেন। তারা ভবিষ্যতেও যোগাযোগ বজায় রাখার এবং সমন্বিত অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হন। পুতিন ও ম্যাক্রোঁ একমত হন যে, তাদের উভয়ের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বজায় রাখতে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি এবং আইএইএ-র সঙ্গে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। ফ্রান্স ইউক্রেনকে ৩.৭ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ম্যাক্রোঁ পূর্বে ফরাসি সেনা ইউক্রেনে পাঠানোর সম্ভাবনা উত্থাপন করেছিলেন, যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি ম্যাক্রোঁ তার কড়া অবস্থান কিছুটা নরম করেছেন। মে মাসে তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ করেছি এবং এখন আর অনেক কিছু করা সম্ভব নয়। গত সপ্তাহে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো চিরদিন যুদ্ধের প্রস্তুতিতে থাকতে চায় না এবং এখনই রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ শুরু করা উচিত, যাতে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের পাশাপাশি নতুন ইউরোপীয় নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলা যায়।