স্টাফ রিপোর্টার : হিরো আলম বগুড়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এ খবর মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হিরো আলমের কাছে ছুটে যান তার স্ত্রী রিয়ামনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা উঠেছে, তালাক দেয়ার পরও কেন নিজেকে হিরো আলমের স্ত্রী দাবি করছেন রিয়ামনি বিষয়টি নিয়ে রিয়ামনি জাগো নিউজকে স্পষ্ট জবাব দেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়নি। হিরো আলম অভিমান করে এসব বলেছিলেন। রিয়ামনি বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি যে আমাদের জীবনে তৃতীয় একজন ঢুকে গিয়েছিল। এই করণে এতোগুলো ঘটনা ঘটেছে। এখন আস্তে আস্তে হিরো আলম ঠিক হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে মিডিয়ার সামনে হিরো আলম আসবে। তখন অনেক কিছুই জানতে পারবেন। এর আগে বাবার মৃত্যুর সময় পাশে না থাকার অভিযোগ তুলে স্ত্রী রিয়ামনিকে বয়কট করে তার সঙ্গে সংসার না করার ঘোষণা দেন হিরো আলম। এই ঘোষণা শুনে রিয়ামনি জাগো নিউজকে বলেছিলেন ‘মানসিকভাবে ঠিক নেই উনি (হিরো আলম)। যেহেতু উনার বাবা মারা গেছেন। সত্য কথা বলতে কী এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। এপরে হিরো আলমের বিরুদ্ধে পারিবারিক আদালতে দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করে একটি মামলা করেন রিয়ামনি। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিয়া তখন বলেন, ‘আমাকে হিরো আলম ডিভোর্স দিয়েছে, মিডিয়ায় এমনটা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমি এখনো তেমন কোনো কাগজ হাতে পাইনি। আমি এখন পর্যন্ত আইনত তার স্ত্রী। সে আমার খোঁজখবর নেয় না। তাই দেনমোহর ও ভরণ-পোষণের জন্য আদালতে মামলা করেছি। চলতি মাসে হিরো আলম হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রিয়ামনির বিরুদ্ধে। সেখানে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। মামলার অভিযোগে বাদী হিরো আলম উল্লেখ করেন, ‘গত ২১ জুন বিকেল ৪টার দিকে হাতিরঝিল থানার উলন রোডের থাই প্লাস্টিক গলিতে আমাদের ভাড়াবাসায় আমি গেলে বেড রুমে রিয়ামনি ও কামরুল ইসলাম রিয়াজকে একসঙ্গে দেখতে পাই। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তখন আমি একসঙ্গে থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। এসময় আসামি রিয়ামনি ও আবদুল্লাহ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি মারধর করে (নীলাফোলা) জখম করে। আসামি কামরুল ইসলাম রিয়াজ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে এবং মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধর করে। এসময় কামরুল ইসলাম রিয়াজ আমার গলায় থাকা আটআনা ওজনের সোনার চেইন কৌশলে চুরি করে নেয়, যার মূল্য ৪০ হাজার টাকা। এসব নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচনা তুঙ্গে তখন গেল ২৮ জুন শুক্রবার সকালে বগুড়ায় এক বন্ধুর শয়নকক্ষ থেকে হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে নেওয়া হয় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।তাকে দেখতে সেখানে ছুটে গেছেন রিয়ামনি। তারপর থেকেই নতুন করে আলোচনায় আসে তাদের সম্পর্ক।