মেহেদী হাসান সেতু: দেবীগঞ্জে হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে এক স্থানীয় যুবদল নেতা। উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব ওমর ফারুকের উপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (২৫ জুন) রাতে শালডাঙ্গার ছত্র শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা শাহনাজ বেগম দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাবু বাজার এলাকায় জমি নিয়ে শাহনাজ বেগম ও সফিকুল ইসলামের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। উক্ত জমি শাহনাজ বেগম বর্গা দিয়েছিলেন আব্দুল বারেক নামক এক কৃষককে। এক মাস আগে ওই জমিতে আমন ধানের বীজ রোপণ করা হয়।ঘটনার দিন বিকেলে সফিকুল ইসলাম একটি ট্রাক্টর নিয়ে জমিতে চাষ দিতে গেলে বারেক বাধা প্রদান করেন। এ সময় সফিকুল ও তার লোকজন লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে বারেকের উপর হামলা চালায়। বারেককে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরার পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে যুবদল নেতা ওমর ফারুক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তার ডান হাতের কব্জির উপর হাড় ভেঙে যায় এবং পরে হামলাকারীদের আঘাতে তার একটি পা ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বারেক ও ফারুককে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।শাহনাজ বেগম এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন সজিব ইসলাম, মুরাদ ইসলাম, রফিক ইসলাম, লিটন ইসলাম, বাবুল হোসেন, মোমিন, আব্দুল কুদ্দুস, আবুল কালাম, সফিকুল ইসলাম ও মুস্তাকুর প্রধান। দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার জানান, ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।