মেহেদী হাসান সেতু : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঘটে যাওয়া আলোচিত ও হৃদয়বিদারক বাদশা মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২০ জুন) গভীর রাতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা বালুরঘাট এলাকায় গোপন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—দেবীগঞ্জের টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন ও রবিন ইসলাম। তারা উভয়েই হাফিজ উদ্দিনের সন্তান। র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুন দুপুরে দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাদশা মিয়ার ওপর চালানো হয় সশস্ত্র হামলা। প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু বাঁচানো গেল না; ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নিরীহ মানুষটি।
সন্তান হারানোর বেদনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তার পরিবার। বাদশা মিয়ার ছেলে দেবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা মুহূর্তেই এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর র্যাব-১৩ (নীলফামারী ক্যাম্প) ও র্যাব-১৪ (টাঙ্গাইল ক্যাম্প) যৌথভাবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার জানান, “গ্রেপ্তারদের থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে।” এদিকে, গ্রামে এখনো বিরাজ করছে ভীতিকর পরিবেশ। স্থানীয়দের ভাষ্য, “বাদশা ছিলেন সবার আপনজনের মতো। তাকে যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা বর্বরতার সীমাও ছাড়িয়েছে।” তারা এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।