স্টাফ রিপোর্টার:
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও রাজস্ব সংস্থা ছাড়া অন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফ্ল্যাট বা জমি কিনলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলে এনবিআর প্রশ্ন করত না, সেটাকে আমরা রেশনালাইজড করেছি। যাঁরা নিজের জমিতে বাড়ি করবেন, বিদেশ থেকে হয়তো টাকা আয় করেছেন, ঠিকভাবে এনেছেন, কিন্তু ফরমাল চ্যানেলে আসেনি। নানা কারণে আমাদের এখানে অপ্রদর্শিত অর্থ থেকে যায়। সেখানে যদি কেউ কেনেন, তাঁদের যাতে একটি এক্সিট রুল থাকে, সে জন্য আমরা বলেছি, ট্যাক্স দিয়ে এই আয় ঘোষণা দিলে ট্যাক্স অথরিটি (এনবিআর) মেনে নেবে। এর মানে এই নয় যে অন্য কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না। অন্য অথরিটি প্রশ্ন করতে পারবে। এই টাকাও দ্বিগুণ করেছি, আগে যা ট্যাক্স ছিল, তার দ্বিগুণ দিতে হবে।’
ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ পরিহার করা হয়েছে উল্লেখ করে আবদুর রহমান খান বলেন, ‘১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ছিল। সেটা আগস্টে আপনি (অর্থ উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে) আসার পরই বাতিল করেছি। এরপর আরেকটা কালোটাকার প্রবিধান ছিল, সেটা ৩০ জুন এক্সপায়ার করেছে, সেটা আর বাড়ানো হয়নি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আরেকটা বিধান ছিল, কেউ যদি জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে একটু বেশি কর দিলে এনবিআর বা অন্য কোনো সংস্থা প্রশ্ন করবে না। এটাও আমরা বাড়াইনি।’ তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সেটা পাঁচ গুণ করে দিয়েছি। এটা কস্টলি হয়েছে।’
এসময় অর্থ উপদেষ্টার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এটা নিয়ে যেহেতু কথা হচ্ছে, আপনারা চাইলে এটা বিবেচনা করতে পারেন।