স্টাফ রিপোর্টার:

প্রচণ্ড গরমের কারণে সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কায় অবস্থিত হেরা পর্বত পরিদর্শনের সময় কমানো হয়েছে। হেরা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন থেকে শুরু করে আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত হেরা গুহায় যাতায়াতের সময় প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ হেরা গুহার দিকে ওঠার রাস্তা বন্ধ রাখা হবে।

পবিত্র কাবা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হেরা গুহা অনেক দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে। হজ ও উমরা করতে আসা অনেকেই উঁচু পাহাড়ে উঠেন। তীব্র গরমের সময় উচুঁ পাহাড়ে উঠা হজযাত্রীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে- এই বিবেচনায় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হেরা গুহার দিকে যাওয়ার রাস্তাটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হবে।

হেরা গুহা হলো- সেই স্থান, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে পবিত্র কোরআনের প্রথম অহি লাভ করেছিলেন। এ কারণে স্থানটি বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিমের কাছে এক আবেগঘন স্মৃতির আধার। প্রতিবছর হাজার হাজার হজ ও উমরা পালনকারী মুসলিম এখানে ভ্রমণ করতে আসেন।

গুহাটি পাহাড়ের শীর্ষে অবস্থিত। এটা দৈর্ঘ্যে ১২ ফুট ও প্রস্থে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। হেরা গুহায় উঠতে শক্তিশালী ও সামর্থ্যবান মানুষদের প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। উচ্চতা ২ হাজার ১০০ ফুট। যে হেরা গুহায় পবিত্র কোরআন নাজিল হয় সেটি পর্বতের ৮৯০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।

এদিকে সৌদি আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হজের সময় মক্কা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। যা হাজিদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তাই সৌদি সরকারের এমন পদক্ষেপ হাজিদের নিরাপত্তার জন্য খুবই দরকারি।

ইসলামের ইতিহাসের এক মহামূল্যবান স্থান হেরা গুহা আপাতত কিছু সময়ের জন্য সীমিত হলেও, এই পদক্ষেপ জীবনরক্ষার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।