বরিশাল সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত দেয়া হয়েছে দলীয় প্রতিক নৌকা, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমকে হাতপাখা, জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুকে গোলাপ ফুল এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপসকে লাঙ্গল।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপনকে টেবিল ঘড়ি, সাংবাদিক মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদকে হাতি এবং আলী হোসেনকে হরিণ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, এবার সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে মেয়রের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করা হবে। একইভাবে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিলোত্তমা বরিশাল নগরী গড়ে তোলা হবে। সেখানে যত সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের আন্তরিক চেষ্টা করা হবে।
অপরদিকে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, বরিশাল সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে বরিশাল সিটির উন্নয়নসহ বরিশালে বস্তিবাসীর নাজেহাল অবস্থাকে সংশোধনের চেষ্টা করবো। এছাড়াও আমি নির্বাচিত হলে জীবন মান উন্নয়নে বস্তিবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আরও বলেন বিশেষ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন দূর্নীতিতে সয়লাভ, তেতুল গাছ লাগিয়ে যেমনি করে আমের আসা করা যায় না তদ্রুপ বরিশাল সিটি করপোরেশনকে একটি দূর্নীতি মুক্ত প্রতিস্ঠানে পরিনত করা অসম্ভব।
অন্যদিকে লাঙ্গলের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, গাজীপুরের সিটি নির্বাচন এবং দূতাবাসের চিঠি মানুষের মনে কাছে পৌঁছে যাওয়ার ফলে মানুষ ভোট দানে আগ্রহী হয়েছে। আগামী ১২ জুন একইভাবে ভোটাররা বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আশা করে রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বরিশালের ২৬টি খাল পুনরায় উদ্ধার এবং জলাবদ্ধতা দূর করাসহ নগরীকে আইটি নগরীতে পরিণত করার ইচ্ছা রয়েছে আমার। এ জন্য নগরবাসীকে আমাকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জনের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তবে এ ক্ষেত্রে একই ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী একই প্রতীক দাবি করলে লটারির মাধ্যমে তা সমাধান দেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এসময় প্রার্থীদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন,প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে প্রচার-প্রচারণার সময়সীমা বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন মেয়র প্রার্থী একটি থানা এলাকায় একটির বেশি নির্বাচনী কার্যালয় করতে পারবেন না। আমি আশা করছি প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। বিশেষ করে মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ জুন বরিশাল নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটার নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন রয়েছেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।