কাকন সিকদার,স্টাফ রিপোর্টার।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনের একটি সার্কাস্টিক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কীভাবে নিজেকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে আবিস্কার করেছেন— স্ট্যাটাসে সেই অভিজ্ঞাতা তুলে ধরেছেন বাঁধন।
আজ ফেসবুকে পোস্ট করা সেই স্ট্যাটাসে বাঁধন জানিয়েছেন, জুলাই গণভ্যুত্থানের পরে ও আগের বেশ কিছু ঘটনা।
বাঁধন লেখেন, ২০২১ সালে যখন বলিউডের একটি সিনেমা ‘খুফিয়া’তে কাজ করলাম তখন আমি ছিলাম একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট। সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে ছিলেন তাবু। কিন্তু এরপরই ঘটনায় মোড় নেয়, যখন আমাকে সিনেমার প্রেমিয়ারে যেতে বাধা দেয়া হলো।
বাঁধন লেখেন, আমার ভিসা একবার দুইবার নয়, পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রত্যাখান করা হলো। কারণ হিসেবে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একটি ছবি দেখায় এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। এরপর আমি আমার দেশের কিছু উচ্চপদস্থ বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি এবং এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাই। খবর পাই, আমার সেই সিনেমার কোনো অভিনেতা এই ভিসা বিপত্তির জন্য দায়ী।'
এর ফলে বলিউড ও কলকাতার একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও জানান বাঁধন।
এরপর বাঁধন কথা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমাকে বলা হয় আমি সিআইয়ের এজেন্ট এবং ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়েছি এবং এই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী। এরপর বলা হয় আমি জামায়াত কর্মী। কারণ আমি আমার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করেছি।
এরমধ্যে আমাকে বলা হয় আমি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য। তারপর গতকাল রাতে আমাকে আবারও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘র’ এজেন্ট বলা হলো।
এখানেই শেষ নয়, বাঁধন জানান, তার এক কাছের বন্ধু, যিনি বর্তমান সরকারে আছেন, তিনি বলেছেন, টাকা খাইছো?
হতাশা প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, কী ধরনের সমাজে বাস করি আমরা। এখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না। এবং মনে করে কেউই দেশকে ভালোবাসে না।